জানুন পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
এখন আপনি অনলাইনে আবেদন করে আপনার নিজের পাসপোর্ট পেতে পারেন এবং আপনার পুরানো পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারেন। পাসপোর্ট পেতে কি কি লাগবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
পাসপোর্ট পেতে কী কী লাগে এবং পাসপোর্টের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হয় তা যদি আপনি জানেন, তাহলে আপনি কোনো দালাল ছাড়াই নিজের পাসপোর্ট করতে পারবেন। তাই আজ আমি আলোচনা করব পাসপোর্ট পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে।
পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন হওয়ায় এখন যে কেউ নিজের পাসপোর্টের জন্য নিজে আবেদন করতে পারবেন। ই-পাসপোর্টের জন্য খুব বেশি কাগজপত্র এবং কোনো নথির সত্যায়িত কপির প্রয়োজন হয় না। আসুন জেনে নেই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।
পাসপোর্ট পেতে কী কী লাগে এবং পাসপোর্টের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হয় তা যদি আপনি জানেন, তাহলে আপনি কোনো দালাল ছাড়াই নিজের পাসপোর্ট করতে পারবেন। তাই আজ আমি আলোচনা করব পাসপোর্ট পেতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে এবং কিভাবে আবেদন করতে হবে।
পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন হওয়ায় এখন যে কেউ নিজের পাসপোর্টের জন্য নিজে আবেদন করতে পারবেন। ই-পাসপোর্টের জন্য খুব বেশি কাগজপত্র এবং কোনো নথির সত্যায়িত কপির প্রয়োজন হয় না। আসুন জেনে নেই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রধানত পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসাবে, নাগরিক সনদ ও পেশার প্রমাণপত্র প্রয়োজন। এছাড়াও অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্টের জন্য পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে NOC বা GO লাগবে।
একজন বাংলাদেশী নাগরিকের পাসপোর্টের জন্য মূলত 5টি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় লাগে তা হলো:
একজন বাংলাদেশী নাগরিকের পাসপোর্টের জন্য মূলত 5টি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয় লাগে তা হলো:
- অনলাইন আবেদনের কপি;
- অনলাইন আবেদন নিবন্ধন ফর্ম;
- জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি এবং ফটোকপি, বা ইংরেজি জন্ম নিবন্ধন সনদের মূলকপি এবং ফটোকপি (যদি 20 বছরের কম বয়সী এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে );
- পাসপোর্ট ফি প্রদানের জন্য A চালান;
- নাগরিক সনদ (নতুন পাসপোর্টের জন্য);
- পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (শিশুদের জন্য বাধ্যতামূলক);
- NOC বা GO (সরকারি কর্মচারীদের জন্য);
- পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং আসল পাসপোর্টের ফটোকপি (যদি প্রযোজ্য হয়);
- পেশাগত সার্টিফিকেট বা চাকুরীর আইডি কার্ডের ফটোকপি (পেশার ক্ষেত্রে – যেমন ডাক্তার, প্রকৌশলী, হিসাবরক্ষক, আইনজীবী);
- নাগরিক সনদ /চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়);
- ঠিকানা প্রমাণ/ইউটিলিটি বিলের কপি (যদি প্রযোজ্য হয়);
- 3R সাইজ ফটো ল্যাব প্রিন্ট, গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ড (6 বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য);
- হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের জিডি কপি (পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে)।
আরও পড়ুন- পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম ও সংশোধন করতে কি কি লাগে ?
পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
১. Application Summery ও Registration Form
অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার পর, ২টি ডকুমেন্ট ডাউনলোড করতে হবে, একটি হল Application Summery এবং অন্যটি নিবন্ধন ফর্ম।এই ২টি ডকুমেন্ট প্রিন্ট করতে হবে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের সাথে জমা দিতে হবে
২. জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ
২0 বছর বা তার বেশি বয়সের জন্য, জাতীয় পরিচয়পত্রের আসল কপি অবশ্যই দেখাতে হবে এবং পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সাথে ফটোকপি জমা দিতে হবে। তবে পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন নেই।
যাদের বয়স 18 থেকে 19 বছরের মধ্যে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের মতো যেকোনো ১টি ডকুমেন্ট সহ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।তবে বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্ম সনদপত্র ইংরেজি ভার্সন সব ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য হবে।
তবে মনে রাখবেন, জন্ম সনদ বা এনআইডি যাই হোক না কেন সেটির তথ্য অনুসারেই পাসপোর্ট আবেদন করতে হবে। এমনকি যারা তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করছেন, তাদের পাসপোর্টের বিবরণ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের বিবরণ একই হতে হবে।
আপনি আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন না যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন তথ্য আপনার পাসপোর্টের সাথে মিলে না থাকে। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে পাসপোর্ট সংশোধন বা পাসপোর্ট অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হতে পারে।
তবে মনে রাখবেন, জন্ম সনদ বা এনআইডি যাই হোক না কেন সেটির তথ্য অনুসারেই পাসপোর্ট আবেদন করতে হবে। এমনকি যারা তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করছেন, তাদের পাসপোর্টের বিবরণ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের বিবরণ একই হতে হবে।
আপনি আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন না যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন তথ্য আপনার পাসপোর্টের সাথে মিলে না থাকে। এই ক্ষেত্রে, আপনাকে পাসপোর্ট সংশোধন বা পাসপোর্ট অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হতে পারে।
পাসপোর্টের আবেদন জমা দেওয়ার সময়, আপনাকে অবশ্যই মূল কপি এবং ১টি ফটোকপি আবেদনের সাথে নিয়ে যেতে হবে।
৩. পাসপোর্ট ফি পরিশোধের A চালান
পাসপোর্ট ফি অনলাইনের পরিবর্তে অফলাইন পেমেন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে যেমন ব্যাংক থেকে A Challan। আপনি চাইলে অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে পাসপোর্ট ফি অনলাইনে জমা দিতে পারবেন। তবে আপনি যদি এই এসবক্ষেত্রে নতুন হলে তবে ব্যাংকের মাধ্যমে ফি প্রদান করা সবচেয়ে নিরাপদ।
পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় অনলাইনে পেমেন্ট হতে আবেদন করলে, আবেদনে কোনো ভুল হলে বা আবেদন বাতিল করতে চাইলে অর্থপ্রদানও বাতিল হয়ে যাবে। তাই অফলাইনে পেমেন্ট করাই উত্তম। অফলাইন পেমেন্ট চালান ৬ মাস থাকবে। এই পেমেন্ট চালানের মাধ্যমে আপনি 6 মাসের মধ্যে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।৪. অন্যান্য কাগজপত্র (প্রযোজ্য হলে)
নাগরিক সনদ/ কাউন্সিলর/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট
উপরের 3টি মৌলিক ডকুমেন্ট ছাড়াও, পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার জন্য আরও কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে, যা সবার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। আপনার তথ্য এবং আবেদন অনুসারে, আগের পাসপোর্টের ফটোকপি, নাগরিক সনদ, পিতামাতার এনআইডি কার্ডের কপি, পেশার প্রমাণপত্র, কাবিন নামা, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদির মতো যেকোনো ডকুমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে।
নতুন পাসপোর্ট পেতে তাদের ক্ষেত্রে নাগরিক সনদ প্রয়োজন হতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলর থেকে নাগরিক সনদ নিতে পারবেন।
পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে আবেদনের সঙ্গে অভিভাবকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে।
পুরাতন পাসপোর্টের কপি
যারা পাসপোর্ট রিনিউ এর জন্য জন্য আবেদন করছেন তারা আবেদন জমা দেওয়ার সময় তাদের সর্বশেষ পাসপোর্ট নিয়ে যাবেন। এছাড়া আবেদনপত্রের সাথে পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি জমা দিতে হবে। মনে রাখবেন, পাসপোর্টের আগের তথ্য কোনোভাবেই গোপন রাখা যাবে না, গোপন করলে আবেদন ফিসহ আবেদন বাতিল হবে।
NOC বা GO
সরকারী কর্মচারী যারা তাদের নিজ প্রয়োজনে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন, তাদের অবশ্যই তাদের বিভাগ বা অধিদপ্তর থেকে একটি no Objection Certificate বা অনাপত্তিপত্র নিতে হবে।
অন্যদিকে যারা সরকারি কাজে দেশের বাইরে যেতে পাসপোর্ট করবেন। সরকারী পাসপোর্ট করার জন্য তাদের সরকারী আদেশের প্রয়োজন হবে।
অন্যদিকে যারা সরকারি কাজে দেশের বাইরে যেতে পাসপোর্ট করবেন। সরকারী পাসপোর্ট করার জন্য তাদের সরকারী আদেশের প্রয়োজন হবে।
পেশাগত সনদ বা চাকুরীর আইডি কার্ডের কপি
পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে যেমন- ডাক্তার, প্রকৌশলী, হিসাবরক্ষক, আইনজীবীদের পেশার প্রমাণ হিসেবে সার্টিফিকেট বা আইডি কার্ডের কপি জমা দিতে হবে।
কাবিন নামা
পাসপোর্টে স্বামী/স্ত্রীর নাম যোগ করা থাকলে, এনআইডি কার্ড এবং বিয়ের সার্টিফিকেটের কপি বা স্বামী বা স্ত্রীর কাবিন নামার কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে নাম, জন্মতারিখ এবং স্থায়ী ঠিকানার সংশোধনের ক্ষেত্রে, প্রদত্ত তথ্য প্রয়োজনে বিশেষ শাখা এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করা হতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে নাম, জন্মতারিখ এবং স্থায়ী ঠিকানার সংশোধনের ক্ষেত্রে, প্রদত্ত তথ্য প্রয়োজনে বিশেষ শাখা এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই করা হতে পারে।
তথ্যসূত্র: Passport Instructions by Department of Immigration & Passports.
FAQs
বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে?
বাংলাদেশে পাসপোর্ট করতে প্রধানত জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন কপি লাগে। এছাড়া নাগরিক সনদ ও ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ইউটিলিটি বিলের কপি লাগতে পারে। বয়স ২০ এর কম হলে জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে জন্ম নিবন্ধন লাগবে। এছাড়া ১৮ বছরের কম হলে পিতা ও মাতার NID এবং সরকারি চাকরীজীবিদের জন্য NOC বা GO লাগবে।
পাসপোর্ট করতে কি মা বাবার আইডি কার্ড লাগে?
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে, পাসপোর্ট করতে মা বাবার আইডি কার্ড লাগে। এছাড়া, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার আইডি কার্ড প্রয়োজন হয় না।
জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া কি পাসপোর্ট করা যাবে?
পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স ২০ বছরের কম হলে, জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া শুধুমাত্র অনলাইন জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করা যাবে।